আজ বাইশে শ্রাবণ। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অনন্য সাধকপুরুষ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৭তম প্রয়াণ দিবস।
বাঙালির প্রাণের এ কবি নশ্বর পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেও অসামান্য রচনা ও কাজের মধ্যে আজো বেঁচে আছেন তিনি প্রেরণাদাতা হয়ে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বহুমুখী সৃজনশীলতা বাংলা সাহিত্য ও শিল্পের প্রায় সব কটি শাখাকে স্পর্শ করেছে, সমৃদ্ধ করেছে। তার লেখা গান বাঙালির হূদয়ে প্রতিধ্বনিত হয় আজো। আনন্দে, বেদনায় এমনকি দ্রোহে এখনও রবীন্দ্রনাথ বাঙালির প্রেরণার উৎস।
এ উপলক্ষে বাংলা একাডেমি আজ সোমবার বিকেল ৪টায় আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে একক বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এতে ‘আজকের বিশ্বে রবীন্দ্রসৃজনের প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক বক্তৃতা প্রদান করবেন নাট্যজন আতার রহমান। সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জমান।
এরপরে রয়েছে গীতিনৃত্যালেখ্য ‘ওই পোহাইলো তিমির রাতি’। গীতিনৃত্যালেখ্য পরিবেশন করবে রক্তকরবী ও শুদ্ধ সংগীত চর্চা কেন্দ্র। এছাড়াও শিল্পকলা একাডেমি বিকেলে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন দিবসটি পালনের জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
১২৬৮ সনের ২৫ বৈশাখ (১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের ৮ মে) কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি একাধারে কবি, নাট্যকার, কথাশিল্পী, চিত্রশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, ছোট গল্পকার ও ভাষাবিদ।
বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসঙ্কলন প্রকাশিত হয়েছে। তার সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প ও ১৯১৫টি গান যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সঙ্কলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যাবতীয় প্রকাশিত ও গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খণ্ডে রবীন্দ্র রচনাবলী নামে প্রকাশিত হয়েছে। ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে তিনি প্রথম এশীয় হিসেবে ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।